হে যুবক!
তুমি তো অক্ষম নও তবে কেন আছ নিরব?
তোমার শরীরে এখন উষ্ণ রক্ত আছে প্রবাহমান
তবে কেন দেখি সকল কাজে তোমার পিছুটান!
তোমার বাহুতে কি নেই বল? কব্জিতে কি নেই শক্তি?
তবে কেন কর তুমি দূর্বলদেরকে ভক্তি?
তুমি কেন থাকবে পড়ে দূর্বলদের স্তরে?
তুমি কি চাও না সম্মানের সাথে বাঁচতে?
তুমি কি চাও না মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে?
তুমি কি চাও না মিথ্যার আবসান ঘটাতে?
তুমি কি চাও না সত্যকে উদ্ভাসিত করতে?
তাহলে কেন তুমি অলসের মত নিস্তব্ধ!
উচুঁ কর তোমার হস্ত, ভেসে তোল কলমের শব্দ
দৃষ্টি তোমার প্রখর, আর বজ্রের ন্যায় কণ্ঠস্বর।
তীক্ষ্ণ তোমার বুদ্ধি, করতে পার আত্মশুদ্ধি
তুমি কি পার না দৃষ্টিকে কাজে লাগাতে !
তুমি কি পার না বুদ্ধিকে ঘাটাতে!
তুমি কি পার না হককে প্রতিষ্ঠা করতে!
তুমি কি পার না বাতিলের মুখে লাথি মারতে!
ভেবে দেখ একবার তোমার নিজের কথা
তুমিই যদি বসে থাক তাহলে বুঝবে কে এই সমাজের ব্যথা?
আজ সমাজ আছে তোমার পানে চেয়ে
একদিন সুশীল সমাজ গড়বে তুমি গিয়ে।
আর সেই তুমি যদি আঁধারে ডুবে যাও
তুমিই যদি মিথ্যার গান গাও
কে বাইবে সেই সমাজের তরী?
যেখানে অন্যায় অবিচারের আছে ছড়াছড়ি
ওঠ! আঁখি খোল
মেলে ধর সত্যের ঝান্ডা
থেমে দাও মিথ্যার প্রপাগান্ডা।
ধর আজ সমাজের হাত
দেখাও তাদের আলোকিত প্রভাত।
তুমিই তাদের অন্ধের যষ্টি
শক্ত কর তোমার বজ্রমুষ্টি।
পাড়ি দাও বন্ধুর গিড়িপথ
তাহলেই পাবে তুমি সিন্ধুর নদ।
(এম, এ রহমান)