যাওয়াদ এবং ইবনুর রেযা (আ.)

0 227

অষ্টম ইমামের পুত্র হযরত মুহাম্মদ বিন আলী আত্ তাক্বী (আ.) হলেন নবম ইমাম। তিনি ইমাম যাওয়াদ এবং ইবনুর রেযা নামেও সম্যক পরিচিত। তিনি হিজরী ১৯৫ সনে মদীনায় জন্মগ্রহণ করেন। শীয়া সূত্রে বর্ণিত হাদীস অনুসারে হিজরী ২২০ সনে আব্বাসীয় খলিফা মুতাসিম বিল্লাহর প্ররোচনায় বিষ প্রয়োগের ফলে তিনি শাহাদত বরণ করেন। আব্বাসীয় খলিফা মামুনের কন্যা ছিল তাঁর স্ত্রী। খলিফা মুতাসিম বিল্লাহর প্ররোচনায় ইমামের স্ত্রী (খলিফা মামুনের কন্যা) ইমামকে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে শহীদ করেন। বাগদাদের কাযেমাইনএলাকায় দাদার (সপ্তম ইমাম) কবরের পাশেই তাঁকে কবরস্থ করা হয়। পিতার মৃত্যুর পর মহান আল্লাহর নির্দেশে এবং পূর্ববর্তী ইমামগণের নির্দেশনায় তিনি ইমামতের পদে অধিষ্ঠিত হন। মহান পিতার মৃত্যুর সময় নবম ইমাম মদীনায় ছিলেন। আব্বাসীয় খলিফা মামুন তাঁকে বাগদাদে ডেকে পাঠায়। আব্বসীয় খেলাফতের তকালীন রাজধানী ছিল বাগদাদ

 খলিফা মামুন প্রকাশ্যে ইমামকে অত্যন্ত সম্মান প্রদর্শন করে এবং তাঁর সাথে নম্র ব্যবহার করে। এমনকি খলিফা মামুন তার নিজ কন্যাকে ইমামের সাথে বিয়ে দেয়। এভাবে সে ইমামকে বাগদাদেই রেখে দেয়। প্রকৃতপক্ষে ঐ বিয়ের মাধ্যমে ইমামকে ঘরের ভিতরে এবং বাইরে উভয় দিক থেকেই পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ পায়। ইমাম তাক্বী (আ.) বেশ কিছুদিন বাগদাদে কাটানোর পর খলিফা মামুনের অনুমতি নিয়ে মদীনায় ফিরে যান। তারপর খলিফা মামুনের মৃত্যু পর্যন্ত তিনি মদীনাতেই ছিলেন। খলিফা মামুনের মৃত্যুর পর মুতাসিম বিল্লাহ খলিফার সিংহাসনে আরোহণ করেন। এরপরই খলিফা মুতাসিম ইমামকে পুনরায় বাগদাদে ডেকে পাঠায় এবং তাঁকে নজরবন্দী করে রাখা হয়। অতঃপর খলিফা মুতাসিমের প্ররোচনায় ইমামের স্ত্রী (খলিফা মামুনের কন্যা) ইমামকে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে শহীদ করে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.