রাসূল (সা.)-এর বাণীতে আলীর (আ.) পৃষ্ঠপোষকতা বা অভিভাবকত্বকে মেনে নেওয়ার সুফলের কথা

0 456

যখনই সাহাবীগণ রাসূল (সা.)-এর পরে তাঁর খলিফা বা প্রতিনিধি ইসলামী রাষ্ট্র নেতা সম্পর্কে তাঁর (সা.) সাথে কথা বলতেন, তখনই তিনি (কোন কোন হাদীস অনুযায়ী দীর্ঘশ্বাস ফেলতেন) আলীর (আ.) পৃষ্ঠপোষকতা বা অভিভাবকত্ব মেনে নেওয়ার সুফল সম্পর্কে বক্তব্য দিতেন

তিনি বলতেনঃ

اِن وَلَّيْتُمُوهٰا عَلياً وَجَدْتُمُوهُ هٰادياً مَهْدياً يَسْلُكُ بِكُمْ عَلَي الطَّريقِ المستقيم

অর্থা যদি খেলাফতকে আলীর হাতে তুলে দাও, তাহলে দেখবে যে, হেদায়াত প্রাপ্ত হেদায়াতকারী হিসাবে সে তোমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালনা করছে[1]

أما وَالَّذي نَفْسي بِيَدِهِ لَئِنَ اَطاعُوه لَيَدْخُلُنَّ الجَنَّةَ اَجْمَعينَ اَكْتَعينَ

অর্থা তাঁর শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! যারা আলীর আনুগত্য করবে তারা সকলেই বেহেশ্‌তে প্রবেশ করবে[2]

اِنْ تَسْتَخْلِفُوا عَلياًوَ لا اَرٰاكُمْ فَاعِلينَتَجِدُوهُ هٰادياً مَهْدياً يَحْمِلُكُمْ عَليَ المَحَجَّةِ الْبَيْضٰاء

অর্থা যদি তোমরা আলীকে খলিফা বা প্রতিনিধি হিসেবে মেনে নাও, তাহলে (আমার মনে হয় না তোমরা এমনটি করবে) দেখবে যে, সে সঠিক পথপ্রাপ্ত পথপ্রদর্শক, যে তোমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে[3]


[1] ফারায়েদুস্‌ সিমতাঈন, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-২৬৬, অধ্যায়-৫২, হাদীস-২০৮, এবং তারিখে দামেশ্‌ক, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা:৯০-৯৪, হাদীস:১১১৯-১১২৩

[2] তারিখে দামেশ্‌ক, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা-৯৫, হাদীস-১১২৪ এবং ফারায়েদুস্‌ সিমতাঈন, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-২৭৪, অধ্যায়-৫২, হাদীস-২১২

[3] ফারায়েদুস্‌ সিমতাঈন, ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-২৬৫, অধ্যায়-৫২, হাদীস-২০৭

তথ্যসূত্র: আহলে সুন্নাতের দৃষ্টিতে গাদীর

Leave A Reply

Your email address will not be published.