নারীর অবস্থান এবং কু-সংস্কৃতি পরিত্যাগ

0 338

[রাষ্ট্র পরিচালনায়] নারীর সাথে কোন বিষয়ে পরামর্শ করো না। কারণ তারা দূরদৃষ্টিতে দুর্বল এবং তাদের দৃঢ়চিত্ততা নেই। তাদেরকে পর্দার অন্তরালে রাখ যাতে না-মাহরামদের (অর্থাত যাদের সাথে বিবাহ বৈধ) প্রতি তাদের দৃষ্টি না পড়ে। কেননা, পর্দার ক্ষেত্রে কঠোরতা তাদেরকে দৃঢ় ও সুস্থ রাখরে।

 তাদেরকে কোন অবিশ্বস্ত লোকের সাথে সাক্ষাত করতে দেয়া আর তাদের বাইরে আসতে দেয়া (উচ্সৃঙ্খল হতে দেয়া) সমার্থবোধক। তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে না জানার মত ব্যবস্থা যদি তুমি করতে পার তবে সেভাবেই জীবনযাপন করো। একজন নারীর ক্ষমতার অধিক কাজ তার উপর অর্পণ করো না  কারণ, নারী হলো-ফুলের মত-অতটা শক্তিশালী নয়। নারীকে সম্মানের ক্ষেত্রে কখনো সীমালংঙ্ঘন করো না; তাহলে তাকে অন্যের অন্যায় কাজের সুপারিশ করায় উসাহিত করবে। নারীর প্রতি অযথা কঠোরতা সকর্মশীলাকে রুগ্ন অন্তরে পরিণত করে দেবে আর সত্বীনারীকে সন্দিহান করে তুলবে।

তোমার অধীনস্থ সকল কর্মচারীর কাজ নির্ধারণ করে দিয়ো যাতে তাদের প্রত্যেকের কাজের ক্ষেত্রে [আলাদাভাবে] কৈফিয়ত তলব করতে পার। এ রকম করলে তারা একজনের কাজের দায়িত্ব অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে পারবে না। তোমার আত্মীয়স্বজন ও জ্ঞাতিগণকে সম্মান প্রদর্শন করো; কারণ তারা হলো তোমার পাখা যা দিয়ে তুমি উড়বে, তারা তোমার মূলভিত্তি যে দিকে তুমি প্রত্যাবর্তন করবে এবং তারা তোমার হাত যা দিয়ে তুমি লড়াই করতে পারবে। তোমার দ্বীন ও দুনিয়াকে আল্লাহর প্রতি অর্পণ করো। তোমার বর্তমান, ভবিষ্যত, দুনিয়া ও পরকালের জন্য সর্বোত্তম ঐশী প্রার্থনা করছি। এখানেই শেষ করলাম।

Leave A Reply

Your email address will not be published.